ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২নং আখানগর ইউনিয়ন শাখা জামায়াতের আয়োজনে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ঠাকুরগাঁও ১নং সংসদীয় আসনের জনগণের আস্থার প্রতিক মু. দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি সেক্টরে আজ অসৎ ও দুর্ণীতিবাজ নেতৃত্বের কারণে অশান্তির দাবানল দাউদাউ করে জ্বলছে। এর ফলে দেশের সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে, জুলুম ও শোষনের কারণে মজলুম মানবতা আর্তচিৎকার করে ফিরছে। এই অসৎ ও দুর্ণীতিবাজ নেতৃত্বের মূলৎপাটন ঘটিয়ে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে ও রাষ্ট্রে ইনসাফ কায়েম করতে হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর পশ্চিম উপজেলা আমীর মাওলানা খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুর রশিদের সঞ্চালনায় কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও জেলার সেক্রেটারি ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর, ঠাকুরগাঁও শহর আমীর অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহম্মদ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঠাকুরগাঁও শহর সভাপতি এস এম আদিউল ইসলাম প্রমুখ।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার দ্বীনকে পাঠিয়েছেন বিজয়ী করার জন্য। কিন্তু আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য যে, মুসলিম প্রধান একটি দেশে সেই দ্বীন আজ সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত নেই। সুতরাং আল্লাহর পাঠানো জীবন ব্যবস্থাকে সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সকল সেক্টরে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। দেশের জনগণ বুঝে গেছে বর্তমান সরকারের কাছে ইসলাম ধর্ম নিরাপদ নয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই সরকার এদেশের প্রধান ইসলামী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপর রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে জুলুম চালিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে মিথ্যা নাটক সাঁজিয়ে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির রায় দিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। কোরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী হুজুরকে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যখন এদেশের ইসলাম প্রিয় মানুষ আন্দোলনে রাজপথে নেমেছিল, সেই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনেও প্রকাশ্যে জনগণের উপরে গুলি চালিয়ে সারাদেশে হত্যা করেছে বহু ইসলাম প্রিয় মানুষকে। ঢাকার শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতের আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে অসংখ্য নবী প্রেমিক মনুষকে। এখনো দেশের জনপ্রিয় অনেক আলেমকে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দি রেখে ইসলামের প্রতি তাদের জিঘাংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। এমতাবস্থায় এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া বাংলাদেশে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বা মূল্যবোধ কোনো ভাবেই নিরাপদ নয়। আগামীতে এদেশের মাটিতে নিরাপরাধ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে হত্যা, ৫ই মে শাপলা চত্তরে হেফাজতের কর্মীদের উপর গুলি চালিয়ে হত্যা ও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে লগি-বৈঠা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যাকান্ডের বিচার হবেই ইনশাআল্লাহ।